নিজস্ব সংবাদদাতা :
অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ।
আজ বুধবার দুপুরে তিনি টাঙ্গাইলের ১নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুরে সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৫ নভেম্বর ১নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিঞা তার অনুপস্থিতেই তাকে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের কারাদ-াদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল সুরুজের গোপালপুর পৌরশহরের নন্দনপুর বাসভবনে অভিযান চালায়। এ সময় সুরুজ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে এবং তার কাছ থেকে চারটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। পরের দিন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান টিটু বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় সুরুজের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবির এসআই মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম।
এদিকে সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পান। পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালালেও আইনশৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তিনি ছিলেন পলাতক। উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের সামনেই অংশ নিয়েছেন আলোচিত এই নেতা। সবশেষ গত ২৫ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষন ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐহিত্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্থানীয় ইউএনও, ওসি, এসিল্যান্ড, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে ‘পলাতক’ এই নেতা একই মঞ্চে বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ পেলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।